সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার, কালের খবর : নবীগঞ্জ উপজেলায় দীঘলবাক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। উপজেলা প্রশাসন শিগগির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তাদের বিরুদ্ধে।
সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন দীঘলবাক ইউপি পরিদর্শনে গেলে সেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পান। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউপিতে সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলাই চক্রবর্তী ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার নাম মনসুর আহমেদ।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দীঘলবাক ইউপিতে জন্মনিবন্ধন করতে জনভোগান্তি, অফিসে দালাল রাখা, জাল চালান তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতির মাধ্যমে নিবন্ধনের তথ্য পরিবর্তন, জাল সনদ তৈরি, ভিজিডি’র অর্থ ও চাল বিতরণে অনিয়মসহ বিভিন্ন দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন ইউএনও।
এর আগে ভুক্তভোগী লোকজন এ বিষয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। পরিদর্শনের সময় ইউপির চেয়ারম্যান মো. ছালিক মিয়া ও পরিষদের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন এবং শিগগির সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সচিব বলাই চক্রবর্তী বলেন, আমার নামের আইডি দিয়ে কাজ করেন উদ্যোক্তা। তিনিই অনিয়ম করেছেন, যার দায়িত্ব এসে পড়েছে আমার ওপর।
তবে পরিদর্শনকালে ইউএনও তাদের কিছুটা ভুল বুঝেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।